বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৪ পূর্বাহ্ন
নিউজ ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিল্পায়ন ছাড়া কোনো দেশ উন্নতি করতে পারে না। আমাদের শিল্পায়ন প্রয়োজন। শিল্পায়ন কোথায় হবে সেগুলো আমরা ঠিক করে দেব। শিল্পায়নের কারণে যেন কৃষি জমির কোনো ক্ষতি না হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।আজ বুধবার (৩ এপ্রিল) গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘সিটি ইকোনমিক জোন’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় ১১টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের উদ্বোধন, ১৩টি অঞ্চলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও ২০টি শিল্পকারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।তিনি বলেন, বিশ্ব অর্থনৈতিক অবস্থা মন্দা থাকলেও আমাদের দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে যখন যা প্রয়েজোন আমরা সেটি করার ব্যবস্থা নিয়েছি। আমাদের অর্থনীতি সবসময় গতিশীল। এটাকে গতিশীল রাখতে হবে। সুষ্ঠু পরিকল্পনায় অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব।প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। এ ছাড়া, দুর্যোগে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। সে সময় যেন খাদ্য মজুদ থাকে সে দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।তিনি বলেন, বিদেশিরা যেন বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারে, সেই সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছে সরকার। ফলে দেশের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এতে তরুণদের বেকারত্ব অনেকটাই দূর হবে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নে বেসরকারি খাতে যারা এগিয়ে এসেছেন তাদের ধন্যবাদ জানাই। আশা করি, আপনারা দেশের অর্থেনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিক পালন করবেন। আর এগুলোর সব কিছুর মূলে রয়েছে কর্মসংস্থান।তৃণমূল পর্যায় থেকে উন্নয়ন হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার সমগ্র বাংলাদেশ মিলিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়ন করছে। এখন আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পালা। এটা ধরে রাখতে হবে এবং এজন্য সরকারি-বেসরকারি সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুই প্রথমে বিসিক শিল্প নগরী গড়ে তুলেছেন। এ জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করেন। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, বাঙালিদের কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। আজ বাঙালিদের কেউ দাবিয়ে রাখতে পারেনি।বর্তমানের সরকারের লক্ষ্য ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেই বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করে দিয়েছে। একই সঙ্গে এ খাতে বিনিয়োগ করার জন্য এগিয়ে আসা উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।এ সময় গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ও বসুন্ধরা গ্রুপের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) মো. ফখরুদ্দীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।